Thursday, August 29, 2019

গুগলি প্রশ্ন ধাঁধাঁ

 গুগলি প্রশ্ন ও উত্তর

১. হাত নেই পা নেই সব মানুষকে ধরে। এর প্রভাবে কাতর হয়ে মাথা নুয়ে পড়ে।
উত্তরঃ মাথা ধরা।
২. দুই অক্ষরে নাম তার বহু লোকে খায়।  শেষের অক্ষর বাদ দিলে হেটে চলে যায়।
উ ত্তরঃপান।
৩. প্রাণ নেই বন্ধু নয়, চলে সাথে সাথে।
আলো পেলে তবে চলে দিনে কিংবা রাতে।
উত্ তরঃছায়া।
৪. সাজালে সাজে বাজালে বাজে রান্নায়ও সে কাজের।
বলো কি সে?
উত্তরঃ মাটির হাঁড়ি।
৫. মুরগি ডিম দেয় গরু দুধ দেয়।
বলতে হবে এমন কে আছে যে দুধ ও ডিম দুটোই দিতে পারে?
উত্তরঃ দোকানদার। 

আরো কিছু গুগলি প্রশ্ন ও উত্তর

বন্ধুরা নতুন নতুন মজার ভিডিও পেতে হলে আমাদের সাথে থাকো আর আমাদের পরবর্তী ভিডিওগুলো  সবার আগে পেতে আমাদের চ্যানেলটি অবশ্যই Subscribe করো। আর বন্দুরা পাশে থাকা বেল আইকনে ক্লিক করে অন করে নাও।
আমার Youtube Channel Address 
 গুগলি প্রশ্ন ও উত্তর ভিডিও

প্রতিটি ধাঁধার উত্তর দেবার সময় ১০ সেকেন্ড।
১০ সেকেন্ড পরে তোমাকে উত্তর জানিয়ে দেয়া হবে।

আর ভিডিওটির শেষে থাকবে তোমাদের জন্য একটি ধাঁধা। যার উত্তরটা তোমরা কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবে।

১/ কোন জিনিস কাটলে ছোট না হয়ে বড় হয়ে যায়?

বন্ধুরা বলো উত্তর টা কী হবে?

উত্তরঃ উত্তরটা হবে বন্ধুরা পুকুর।

২/ বাঘের মতো লাফ দেয়
কুকুরের মতো বসে জলের মধ্যে
ছেড়ে দিলে শোলা হয়ে যায়

উত্তরঃঃ ব্যাঙ

৩/ কাগজেতে বসে আছে
নদী আছে জল ছাড়া
বন আছে পশু ছাড়া
দেশ আছে লোক ছাড়া

উত্তরঃ পৃথিবীর ম্যাপ

 ৪/ তিন অক্ষরে নাম তার সবার ঘরে রয়
মাঝের অক্ষর বাদ দিলে বাদ্যযন্ত্র হয়
প্রথম অক্ষর বাদ দিলে খাবার জিনিস হয়

উত্তরঃ বিছানা।
মাঝের অক্ষর বাদ দিলে হয় বিনা
আর প্রথম অক্ষর বাদ দিলে হয় ছানা
যা দিয়ে মিষ্টি তৈরি হয় বন্দুরা।

৫/ জিনিসটা কাটলে একটা হবে
না কাটলে দুটো হবে
উত্তরঃ জমির মাঝের আল

৬/ দিলে খায় না
আর না দিলে খায়

উত্তরঃ জালতি
গরুর মুখে দিলে খায়না
আর না দিলে খায়

৭/ দেহ আছে প্রাণ নেই
সে হল এক রাজা
সৈন্য আছে কিন্তু নেই তার কোন প্রজা

বলতো বন্দুরা উত্তর টা কী?

উত্তর টা হল বন্ধুরা দাবার রাজা

৮/ অন্ধ বাগান বন্ধ গাছ
ফুল ফোটে বারো মাস

উত্তরঃ আকাশের তাঁরা

৯/ ডানা নেই উড়ে চলে
মুখ নেই তবুও ডাকে
বুক চিড়ে আলো ছুটে
পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে

উত্তরঃ মেঘ

১০/  লাল গরু বন খায়
জল খেলে মরে যায়

উত্তরঃ আগুন।



বন্ধুরা তোমাদের জন্য আজকের ধাঁধা

কোন ফল বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না?

উত্তর টা কী হবে?

অবশ্যই কমেন্ট করে জানাও
ভিডিওটি তোমাদের ভালো লেগে থাকলে
Like,  Commen,  Share করো
       
           
   

Saturday, August 24, 2019

বাংলাদেশের নদ-নদী

সাধারণ জ্ঞান
চাকরির ইন্টারভিউ তে প্রায়ই  বহুনির্বাচনি প্রশ্ন আসে।
নিচে গুরুত্বপূর্ণ কিছু MCQ দিলাম। অনুশীলন করলে ভালো ফল পাবেন।প্র
প্রশ্ন: বাংলাদেশের নদ- নদীর সংখ্যা কত?
উঃ ২৩০ টি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে প্রবাহিত আর্ন্তজাতিক নদীর সংখ্যা কত?
উঃ ৫৭ টি।
প্রশ্ন: উৎস হিসাবে আর্ন্তজাতিক নদীর কয়টি উৎস ভারতে?
উঃ ৫৪টি।
প্রশ্ন: উৎসস্থল হিসাবে আর্ন্তজাতিক নদীর কয়টির উৎসস্থল মায়ানমারে?
উঃ ৩টি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের জলসীমায় উৎপত্তি ও সমাপ্ত নদীর নাম কি?
উঃ হালদা ও সাংগু নদী।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রশস্থ নদী কোনটি?
উঃ যমুনা।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের খরস্রোতা নদী কোনটি?
উঃ কর্ণফুলী।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের র্দীঘতম নদী কোনটি?
উঃ সুরমা।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের র্দীঘতম নদ কোনটি?
উঃ ব্রহ্মপুত্র।
প্রশ্ন: ব্রহ্মপুত্র নদের অবস্থান বিশ্বে কততম?
উঃ ২২তম।
প্রশ্ন: ব্রহ্মপুত্র নদের দৈর্ঘ্য কত?
উঃ ২৮৫০ বর্গ কিমি।
প্রশ্ন: ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তি কোথায়?
উঃ হিমালয়ের মানস সরোবর।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে প্রবেশের পূর্বে ব্রহ্মপুত্র কোন কোন দেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়?
উঃ তিব্বতে (সান পো নামে) ও ভারতের আসামে (ডিহি নামে)।
প্রশ্ন: কোন জেলার পাশ দিয়ে ব্রহ্মপুত্র বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে?
উঃ রংপুর।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ-মায়ানমারকে বিভক্তকারী নদীর নাম কি? এর দৈর্ঘ্য কত?
উঃ নাফ নদী। দৈর্ঘ্য ৫৬ কিঃ মিঃ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ-ভারতকে বিভক্তকারী নদীর নাম কি?
উঃ হাড়িয়াভাঙ্গা।
প্রশ্ন: মেঘনার উৎপত্তিস্থল কোথায়?
উঃ আসামের লুসাই পাহাড়ে।
প্রশ্ন: উৎপত্তিস্থলে মেঘনার নাম কি?
উঃ বরাক নদী।
প্রশ্ন: মেঘনা কি কি নামে বিভক্ত হয়েছে?
উঃ সুরমা ও কুশিয়ারা।
প্রশ্ন: সুরমা ও কুশিয়ারা পুনরায় মিলিত হয়ে কি নাম ধারন করেছে?
উঃ কালনি।
প্রশ্ন: কালনি কোথায় পুনরায় মেঘনা নাম ধারন করেছে?
উঃ ভৈরব বাজারের নিকট।
প্রশ্ন: কর্ণফুলী নদী কোথা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে?
উঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম দিয়ে।
প্রশ্ন: কর্নফুলী নদী কোথায় পতিত হয়েছে?
উঃ বঙ্গোপসাগর।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী কোনটি?
উঃ সুরমা, (অমলসিদ থেকে কাকুরিয়া) ২৫০ কিঃমিঃ
প্রশ্ন: পদ্মা নদীর দৈর্ঘ কত?
উঃ ৩২৪ কিঃ মিঃ।
প্রশ্ন: কুশিয়ারা নদীর দৈর্ঘ্য কত?
উঃ ১১০ কিঃ মিঃ
প্রশ্ন: এক কিউসেক বলতে কি বাঝায়?
উঃ প্রতি সেকেন্ডে এক ঘনফুট পানির প্রবাহ।
প্রশ্ন: ঢাকা শহরকে রক্ষার জন্য বুড়ীগঙ্গা নদীর তীরে যে বাঁধ দেয়া হয় তার নাম কি?
উঃ বাকল্যান্ড বাঁধ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের কৃত্রিম হৃদ কোনটি?
উঃ রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই হ্রদ।
প্রশ্ন: কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়?
উঃ ১৯৬২ সালে।
প্রশ্ন: কাপ্তাই হ্রদ আয়তন কত?
উঃ ৬৮৬.৯১ বর্গ কি.মি.।
প্রশ্ন: কোন নদী তিব্বতের মানস সরোবর হতে উৎপন্ন হয়েছে?
উঃ ব্রহ্মপুত্র।
প্রশ্ন: ব্রহ্মপুত্র নদ কোন জেলার ভেতর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে?
উঃ কুড়িঁগ্রাম।
প্রশ্ন: ব্রহ্মপুত্র নদের প্রধান শাখার নাম কি?
উঃ যমুনা।
প্রশ্ন: পদ্মা নদী মেঘনার সাথে কোথায় মিলিত হয়েছে?
উঃ চাঁদপরে।
প্রশ্ন: পদ্মা নদী যমুনার সাথে কোথায় মিলিত হয়েছে?
উঃ গোয়ালন্দ।
প্রশ্ন: মেঘনা নদী ব্রহ্মপুত্রের সাথে কোথায় মিলিত হয়েছে?
উঃ ভৈরব বাজার।
প্রশ্ন: পদ্মা কোন জেলার ভেতর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে?
উঃ রাজশাহী।
প্রশ্ন: ভারত ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করেছেন কোন নদীর উপর?
উঃ গঙ্গা।
প্রশ্ন: পানি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কাপ্তাই বাঁধ দেয় হয়েছে কোন নদীর উপরে?
উঃ কর্ণফুলী।
প্রশ্ন: গঙ্গা নদীর উৎপত্তিস্থল কোথায়?
উঃ হিমালয় পর্বতের গঙ্গোত্রী হিমবাহ।
প্রশ্ন: পদ্মা নদীর ভারতীয় অংশের নাম কি?
উঃ গঙ্গা।
প্রশ্ন: তিস্তা উৎপত্তিস্থল কোথায়?
উঃ হিমালয় পর্বত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রধান নদী বন্দর?
উঃ নারায়নগঞ্জ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের নদী গবেষনা ইনস্টিটিউট কোথায়?
উঃ ফরিদপুর।
প্রশ্ন: কোন সালে ফারাক্কা ব্যারেজের নির্মান কাজ শেষ হয়?
উঃ ১৯৭৪ সালে।
প্রশ্ন: কোন সাল থেকে ফারাক্কা বাঁধ চালু হয়?
উঃ ১৯৭৫ সালে।
প্রশ্ন: ফারাক্কা বাঁধের দৈঘ্য কত?
উঃ ৭৩৬৩ ফুট ৬ ইঞ্চি।

বাংলাদেশ বিষয়াবলী

১. কোনটি পদ্মার শাখা নদী
আড়িয়াল খাঁ
২. পার্বত্য চট্রগ্রামের পাহাড় শ্রণির উৎপত্তি হয়েছে
টারশিয়ারি যুগে
৩. কোন কোন মাসে কালবৈশাখী ঝড় হয়
চৈত্র ও বৈশাখ মাসে
৪. বাংলাদেশের হাওড়সমূহ  কোন অঞ্চলে অবস্থিত
সিলেট অঞ্চলে
 ৫. বাঙালী ও যমুনা নদীর সংযোগ কোথায়
বগুড়া জেলায়
৬. জাতীয় প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে
১৯৫৪ সালে
৭. কোন ভূমিরূপটি বাংলাদেশে পাওয়া যায় না
মালভূমি
৮. সমুদ্রে বন্দরের জন্য কয়টি বিপদ সংকেত প্রদান করা হয়
১০টি
৯. বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার নির্ধারণে জাতিসংঘ রায় দিয়েছে
১৪ মার্চ ২০১২ সালে
১০. ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ছিটমহলগুলো কোন অঞ্চলে অবস্থিত
কোচবিহার
১১. গ্রিনিচ মান সময়ের সাথে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য কত ঘন্টা
৬ ঘন্টা
১২. বাংলাদেশের সর্বউত্তরে অবস্থিত উপজেলা
তেঁতুলিয়া
১৩. ঘূর্ণিঝড় সিডর কবে আঘাত হানে
২০০৭ সালে
১৪. বাংলাদেশের শীতল পানির ঝর্ণা কোন জেলায় অবস্থিত
কক্সবাজার জেলায়
১৫. আমার সোনার বাংলা কবিতাটি কোন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়
বঙ্গদর্শন পত্রিকায়
১৬. বাংলাদেশ পরিবেশ আদালত গঠন করা হয় কবে
২০০১ সালে
১৭. বাংলাদেশের সীমান্ত জেলার সংখ্যা কয়টি
৩২ টি
১৮. আমার সোনার বাংলা কবিতা প্রথম প্রকাশিত হয় কবে
১৯০৫ সালে বাংলা ১৩১২ সনে
১৯. বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের পাহাড়গুলো স্থানীয়ভাবে কি নামে পরিচিত
টিলা
২০. পদ্মা ও যমুনা কোথায় মিলিত হয়েছে
গোয়ালন্দ
২১. চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাহাড়সমূহ কোন পর্বতের অংশ
আরাকান ইয়োমা
২২. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় কত সালে
১৯৯২ সালে
২৩. মহুরীর চর কোন জেলায় অবস্থিত
ফেনী জেলায়
২৪. কোন সাল থেকে তুরাগ নদীর তীরে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়
১৯৬৭ সালে
২৫. বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কোনটি
কক্সবাজার
২৬. কোন জেলাটির সাথে মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে
রাঙ্গামাটি জেলা
২৭. ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাল্পনিক রেখা বাংলাদেশের উপর দিয়ে গিয়েছে, সেটি হচ্ছে
কর্কটক্রান্তি রেখা
২৮. বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ কোনটি
ভোলা
২৯. বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের উপজেলা কোনটি
টেকনাফ
৩০. বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের সীমানার নদীর নাম
নাফ নদী                         
         
             
     
       
     
   

Autoplay youtube video

Thursday, August 1, 2019

বাংলাদেশের প্রকৃতি

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ।  প্রতি দু মাসে হয় একটি ঋতু। যেমন বৈশাখ ও জৈষ্ঠ মাস দুটি হলো গ্রীষ্মকাল। এরপর আষাঢ় - শ্রাবণ মিলে বর্ষাকাল। এভাবে ভাদ্র - আশ্বিন হচ্ছে শরৎকাল।  তার পরে কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাস দুটি নিয়ে হেমন্তকাল। পৌষ আর মাঘ হলো শীতকাল।  ফাল্গুন ও চৈত্র এ দু মাস বসন্তকাল।

এরকমভাবে ছয়টি ঋতুই প্রত্যেক বছর আসা -যাওয়া করে। পৃথিবীর সব দেশে কিন্তু দু মাসে একটি ঋতু হয় না। অনেক দেশে দুটি কি তিনটি ঋতু দেখা যায়। খুব বেশি হলে চারটি ঋতু।  আমাদের প্রতিটি ঋতুতে প্রকৃতির রয়েছে নতুন নতুন সাজ। একেক সাজে তাকে নতুন মনে হয়, তার চেনা চেহারা বদলে যায়।

প্রথমে গ্রীষ্মের কথাই ধরা যাক।  গ্রীষ্মে কী প্রচণ্ড গরম! রৌদ্রের অসহ্য তাপ। দুপুরে যদি পথে বের হতেই হয়, তখন মাথার উপরে ছাতা ধরে লোকে হাঁটে। গরম যতই হোক, গ্রীষ্মকে কিন্তু মধুমাস বলা হয়। এ সময় মধুর মতো মিষ্টি নানা ফল পাওয়া যায়। আম, জাম, কাঁঠাল,  আনারস ও লিচু গ্রীষ্মকালের ফল।

গ্রীষ্মের পর আসে বর্ষা। বর্ষায় আবার একেবারে অন্য চেহারা। আকাশ তখন কালো মেঘে ছেয়ে যায়।

বৃষ্টি পড়ছে তো পড়ছেই। কখনো বড় বড় ফোঁটায়, তবে ধীরে ধীরে। কখনো হুড়মুড় করে। কখনো পড়ছে ঝিরঝির করে, খুব হালকা। এ ধরনের বৃষ্টির একটা নাম আছে। একে বলা হয় ইলশেগুঁড়ি।আর বড় বড় ফোঁটায় প্রচুর বৃষ্টির নাম মুষলধারে বৃষ্টি। কখনো আবার পড়ে ঝমঝম বৃষ্টি।  নদীতে তখন ঢল নামে। বর্ষায় ফোঁটে কদম,কেয়া ও আরও নানা ফুল।

বর্ষার পর আসে শরৎ। শরৎ এলেই আবার সব পালটে যায় । শরৎকালে আকাশে সাদা মেঘ পেঁজা তুলোর মতো ভেসে বেড়ায়। আকাশ হয়ে উঠে ঘন নীল। এ সময় ফোটে শিউলি ফুল। নদীর পাড় সাদা কাশফুলে ভরে যায়। শরতের পর পাকা ধানের শীষ নিয়ে আসে হেমন্ত।  শুরু হয় ধান কাটা। এ সময় কৃষকের   ঘর সোনালী ফসলে ভরে উঠে। নবান্নের উৎসব ঘরে ঘরে আনন্দ নিয়ে আসে।

হেমন্তের শেষ দিকে শীতের আগমন টের পাওয়া যায়। তখন ভোর বেলায় একটু একটু শীত লাগে।  এ সময় উত্তুরে হাওয়া বয়। উত্তর দিক থেকে আসা এ হাওয়া খুব ঠাণ্ডা। শীতের রাতে লেপ-কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুমাতে হয়। দিনের বেলায়ও গরম কাপড় পরতে হয়। শীতে খেজুরের রস দিয়ে তৈরি হয় নানা পিঠাপুলি। গ্রামে পিঠা-পায়েস তৈরির ধুম পড়ে যায়।

যেই শেষ হলো এই ঋতু, অমনি শুরু হয় বসন্তকাল। ফুরফুরে সুন্দর বাতাস বয়। বসন্তের দখিনা হাওয়ায় মন ভরে যায়। বসন্তে কোকিল ডাকে। কোকিলের ডাক বরই মিষ্টি। গাছে গাছে জেগে উঠে নতুন সবুজ পাতা। নানা রঙের ফুলে ভরে যায় গাছ।

বাংলাদেশে এই ছয়টি ঋতু এভাবে আসে যায়। ষড়ঋতুর এত বিচিত্র,  সুন্দর রূপ পৃথিবীর আর কোথাও নেই।

***** চতুর্থ শ্রেণির বাংলা সাহিত্য থেকে নেয়া   *****